কাহিনীটা আমার এলাকার এক
বড় ভাইয়ের কাছে শুনলাম আজ
সন্ধ্যায়।
আমার কাছে অনেক ভয়ংকর
লেগেছে ঘটনাটা।
আপনারা হোসেন ভাইয়ের মুখ
থেকেই শুনুন ঘটনাটা।
:
এটি আমার
জীবনে ঘটে যাওয়া ভৌতিক
ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঘটেছিল
আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে।
আমি ওয়ার্কসপে তখন কাজ করতাম।
পার্টির মাল
ডেলিভারী দেয়ার
জন্য আমাদের একদিন অনেক রাত
পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কাজ
করতে করতে সেদিন আমাদের রাত
বারোটা বেজে যায়। তখন
আমরা সবাই মিলে(মোট চারজন
ছিলাম) পুকুরে গেলাম হাত মুখ
ধোয়ার জন্য। আমরা যেই
পুকুরে হাত
মুখ ধুতে এসেছি, তার পাশেই
ছিলো একটা নির্জন কবরস্থান।
যাহোক আমরা চারজন মিলে হাতমুখ
ধুয়ে উঠে আসবো, ঠিক
তখনি আমার
চোখ পড়লো পুকুরের পুর্ব
পাড়ের
দিকে। যা দেখলাম তাতে আমার
ভাষা সম্পূর্ণ স্তব্দ
হয়ে গেলো।
আমি আমার পাশে দাড়ানো নুর
আলম
ভাইকে(ঐ চারজনের একজন)
কোনমতে বললাম ভাই পুকুরের
পুর্ব
দিকে একটু তাকান।
উনি তাকিয়েই
হাউ মাউ
করে চেচামেচি করতে করতে
বাজারের
দিকে চুটলেন। আমি দেখলাম ঐ
কবরস্থানের বাইরে একটা উচুমত
জায়গা ছিলো, ওখানে সাত
আটটা একহাত ছোট বাচ্চার মত
দেখতে (যাদের
উচ্চতা হবে সর্বোচ্চ
একহাত) উপর থেকে ওই উচামত
জায়গায়
পড়ে লাফালাফি করছে একজন
আরেকজনের কাধে হাত রেখে।
ওদের শরীলে কোন কাপড় নেই।
আমি আমার
জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়ে ওদের
দিকে তাকিয়ে থাকলাম। হঠাৎ
ওদের একটা আমার
দিকে তাকালো সোজাসুজি।
দেখলাম ওর চোখ জ্বলছে ভাটার মত
জ্বলজ্বল করে। আমার সব সাহস তখন
উবে গেলো। কোনমতে ওখান
থেকে দৌড়ে বাজারে আসলাম।
পরে শুনেছি অনেকেই নাকি ঐ
পুকুর
পাড়ে অনেক কিছু দেখেছে। এর
পর
থেকে আমরা আর
কখনো ওখানে রাতের বেলায়
হাতমুখ ধুতে যাইনি।
হোসেন ভাইয়ের
আরো একটা ঘটনা আছে যেটা আমি
আপনাদের
জানাবো।
0 Comments
Comment Here...